এম খান, সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] কায়রোয় যুদ্ধবিরতি আলোচলায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় সোমবার এ নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সূত্র: আলজাজিরা

[৩] এ অচলাবস্থার  জন্যে ইসরায়েল হামাসকে অভিযুক্ত করেছে।

[৪] হামাসের যুদ্ধবিরতির দাবিকে ‘চরম অবস্থান’ বলে উল্লেখ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল যদি তা মেনে নেয় তাহলে ‘আরেকটি ৭ অক্টোবর ঘটনা সংঘটিত হওয়া হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র। কায়রোয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিদলের আলোচনা চলার সময় রোববার তিনি এই মন্তব্য করেন। সূত্র: বিবিসি

[৫] গাজা উপত্যকার রাফাহ নগরীর পূর্বাঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের অবিলম্বে আল-মাওয়াসি শহরে সরে যাওয়ার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র : আনাদোলু

[৬] এক্সে দেয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচেই এড্রিয়ি লিখেছেন, রাফাহর পূর্বাঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

[৭] তিনি দাবি করেন, আল-মাওয়াসিতে মাঠ পর্যায়ের হাসপাতাল, তাঁবু, বিপুল পরিমান খাদ্যদ্রব্য,পানি. ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামের মজুদ করার মাধ্যমে মানবিক অঞ্চলের সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

[৮] ইসরায়েলি সেনা মুখপাত্র বলেন, সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং কয়েকটি দেশের কাজ করার অনুমোদন  দিতে চায়। এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এ প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নেওয়া হবে।

[৯] অ্যাভিচেই এড্রিয়ি বলেন, এ সম্পর্কিত প্রচারপত্র বিলি এবং আরব সংবাদ মাধ্যমে তা প্রচার করা হবে। তিনি বলেন, হামাসকে নির্মূল, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং গাজা যুদ্ধের ইসরায়েলি অন্যান্য লক্ষ্যার্জনের জন্য এটি করা হচ্ছে। লোকজনের চলে যাওয়ার পথও সেনা পোস্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

[১০] রোববার রাতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাফাহ’র পূর্বাঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে এখন প্রায় এক লাখ লোক বাস করছেন।

[১১] ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গ্যালান্ট রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার ইসরায়েলি পরিকল্পনা সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে অবহিত করেছেন। রাফাহতে বর্তমানে ১৪ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে।